হাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর পরিবেশে জাতীয় শোক দিবস ২০১৯ পালিত ।
Posted: ১৫ আগস্ট ২০১৯।


যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস ২০১৯ পালিত হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে একাডেমিক ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯.১৫টায় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ কালো ব্যাচ ধারণ করেন। এরপর এক বিশাল শোক র‌্যালি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিদেহীআতœার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। ক্রমান্বয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শাখার নেতৃবৃন্দ, কর্মচারিগণ,হাবিপ্রবি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।


সকাল ১০.৩০ মিনিটে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের বাণী পাঠ করা হয়। বানীতে তিনি বলেন জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক চক্রের যোগ সাজসে ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট ভোরে তাঁর নিজ বাসভবনে এদেশের কিছু বিপদগামী কুলাঙ্গার সেনা সদস্য নির্মমভাবে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে। জাতির জনকের নির্মম মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে আলোচনা করার কোন পরিবেশ ছিল না কয়েক বছর। আগামী দিনের ভবিষ্যৎ শিশু-কিশোরদের দুই দশক জানতে দেওয়া হয়নি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস। শুধু বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করাই নয়; নানাভাবে তাঁর সম্পর্কে অপপ্রচারও শুরু করা হয়। তাঁর অবদানকে খাটো করা শুরু করে একটি চক্র। তবে তাদের সেই অপচেষ্টা সময়ের বিবর্তনে নস্যাৎ হয়ে যায়। বাংলার মাটিতে বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত অধিকাংশের বিচারও সম্পন্ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গঠনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁর সুযোগ্যা কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। আমি বিশ্বাস করি উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের পূর্বেই উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবো।


সকাল ১০.৫০ মিনিটে শিশুদের চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয়, এরপর জাতির জনক ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বাদ যোহর হাবিপ্রবি’র কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।


বিকাল ৬.৪৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা অবনমিতকরণ করা হয়।


News and Events