Posted: ১৭ মার্চ ২০২২।
১৭ মার্চ ২০২২, হাবিপ্রবি, দিনাজপুরঃ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ১০২ তম শুভ জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উদযাপিত হয়েছে। “বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অঙ্গীকার, সকল শিশুর সমান অধিকার” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দিবসের শুরুতে কর্মস‚চির অংশ হিসেবে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরবর্তীতে সকাল ৯ টায় প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন হাবিপ্রবির মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান, এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ সাইফুর রহমান, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. মামুনুর রশীদ, জাতীয় দিবস উদযাপন/পালন কমিটির সদস্য সচিব ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ উপস্থিত থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। ক্রমান্বয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন বিভিন্ন অনুষদের সম্মানিত ডীনবৃন্দসহ শিক্ষক সংগঠন, কর্মকর্তা সংগঠন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (হাবিপ্রবি শাখা)-এর নেতৃবৃন্দ, কর্মচারী সংগঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অঙ্গীকার, সকল শিশুর সমান অধিকার, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিবসের অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল টিএসসি প্রাঙ্গণে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর এর নেতৃত্বে শিশুদের নিয়ে কেক কেটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর শুভ জন্মদিন উদযাপন করা। এরপর সকাল ৯.৫০ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে ”আলোকচিত্রে বঙ্গবন্ধু ও শিশু এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা” শীর্ষক প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান। দিবসটি উপলক্ষ্যে শিশুদের জন্য চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি একই স্থানে শিশুদের জন্য যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে তাজউদ্দিন আহমেদ হল সংলগ্ন খেলার মাঠে শেখ রাসেল স্মৃতি ভলিবল টুর্নামেন্ট-২২ এর শুভ উদ্বোধন করেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলেই জাতি পেয়েছে এই স্বাধীন বাংলাদেশ। তাঁর এ ঋণ কখনো শোধ হবার নয়। জাতি হিসেবে আজকের শিশু, শিক্ষার্থীসহ আমরা সকলে স্ব স্ব অবস্থানে থেকে কাজ করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নিমাণে তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বির্নিমাণে ভূমিকা রাখলেই জাতির পিতার প্রতি কিছুটা হলেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হবে। আমাদের শিশু ও শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যেতে হবে তাহলেই আজকের প্রতিপাদ্য বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অঙ্গীকার, সকল শিশুর সমান অধিকার যথার্থই স্বার্থক হবে। পরবর্তীতে সকাল ১১.৩০টায় শিশুদের চিত্রাংকন ও যেমন খুশি তেমন সাজো এর পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও বাদ যোহর হাবিপ্রবি’র কেন্দ্রীয় মসজিদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।