Posted: ২৬ মার্চ ২০২২
২৬ মার্চ ২০২২, হাবিপ্রবি, দিনাজপুর ঃ যথাযোগ্য মর্যাদা ও দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে শনিবার হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ দিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক প্রশাসনিক ভবনের সন্মুখে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পতাকা উত্তোলনের পরপরই সকাল ৬.১৫ মিনিটে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৮.৩০টায় মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। সকাল ৮.৫০টায় মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদগণের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। ক্রমান্বয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শিক্ষক, কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (হাবিপ্রবি শাখা)-এর নেতৃবৃন্দ, কর্মচারিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের বাণী বিতরণ করা হয়।
ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান তাঁর বাণীতে বলেন আজকের এই ঐতিহাসিক মুহুর্তে আমি প্রথমেই গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি স্বাধীনতার মহান স্থপতি, শত সহ¯্র বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত ও পরিচালিত হয়েছিল। আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে আরো স্মরণ করছি জাতির পিতার প্রিয় সহধর্মিনী, মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব, শহীদ শেখ কামাল, শহীদ শেখ জামাল, শহীদ শিশু শেখ রাসেলসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ সকলের স্মৃতির প্রতি। আজকের এই গৌরবময় দিনে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ সম্ভ্রম হারা মা-বোনকে। কৃতজ্ঞতা জানাই পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাসহ জীবিত সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি। যাঁদের অশেষ ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের এই অনন্য সাধারণ অর্জন।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত একটি গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া। সে লক্ষ্য অর্জনে বর্তমানে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা অদম্য গতিতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উপনীত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উপগ্রহের কার্যক্রম শুরু হয়েছে, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গভীর সমুদ্র বন্দরসহ মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রিয় বাংলাদেশের শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। গ্রামের সাধারণ মানুষ আধুনিক সুযোগ সুবিধা পেতে শুরু করেছে। শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন, নারির ক্ষমতায়ন প্রভৃতির প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রগতি বিশ^ব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। রূপকল্প ২০৪১ এবং ডেল্টাপ্লান ২১০০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আমি এসকল সাফল্যের জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এঁর প্রতি সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর পর্যায়ক্রমে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, মুজিববর্ষ প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ২০২২ এবং স্থাপত্য বিভাগের আয়োজনে বিহঙ্গ বন্ধনা শীর্ষক স্থাপত্য প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন করেন।
বাদ আসর শহীদদের বিদেহী আতœার মাগফিরাত কমনা করে কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও বিকেল ৫টায় শহীদ শেখ রাসেল স্মৃতি ভলিবল টুর্নামেন্ট-২২ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয় এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান।