বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে দিয়ে হাবিপ্রবিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
Posted: ২৬ মার্চ ২০২৪ ।


২৬ মার্চ ২০২৪, হাবিপ্রবি, দিনাজপুরঃ যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার ২৬ মার্চ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ৫৪ তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে। এ দিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পতাকা উত্তোলনের পর সকাল ৯.২৫ মিনিটে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৯.৩০টায় মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি ক্যাম্পাস ও এর সামনের মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে।


র‌্যালি শেষে সকাল ৯.৫০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদগণের স্মৃতির প্রতি পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ সাইফুর রহমান, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. মামুনুর রশীদ, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ মাহাবুব হোসেন। ক্রমান্বয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন অনুষদের সম্মানিত ডীনবৃন্দ, শিক্ষক-কর্মকর্তাগণের বিভিন্ন সংগঠন, হাবিপ্রবি ছাত্রলীগ এর নেতৃবৃন্দ, কর্মচারী সংগঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সকাল ১০ টায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের বাণী বিতরণ করা হয়। বাণীতে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, বাঙালি জাতির আত্মপরিচয় অর্জনের দিন ২৬ মার্চ। মহান স্বাধীনতা দিবসের ৫৪তম বার্ষিকীতে আমি প্রথমেই গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি স্বাধীনতার মহান স্থপতি, শত সহস্র বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, ইতিহাসের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত ও পরিচালিত হয়েছিল। গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব, শহীদ শেখ কামাল, শহীদ শেখ জামাল, শিশু রাসেলসহ যারা শহীদ হয়েছেন তাদের সকলকে। বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ এবং ২ লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনকে। সম্মান জানাই যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল মুক্তিযোদ্ধাকে। যারা স্বজন হারিয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন তাঁদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা। কৃতজ্ঞতা জানাই সকল বন্ধুরাষ্ট্র, সংগঠন ও ব্যক্তির প্রতি, যাঁরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু সবসময় স্বাধীন বাংলাদেশের পাশাপাশি একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ, গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। দারিদ্র্যের হার কমার পাশাপাশি মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল ও বঙ্গবন্ধু টানেল ইতোমধ্যে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজও নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। আমি এসকল সাফল্যের জন্য বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।



এরপর সকাল ১০.০৫ মিনিটে টিএসসিতে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়। পরবর্তীতে টিএসসি’র সম্মুখে স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা কর্তৃক আয়োজিত “পুনরুজ্জীবন” শীর্ষক একটি উন্মুক্ত প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান।






প্রদর্শনীর প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল দৈনন্দিন ও ইলেক্ট্রনিক বর্জ্যকে শিল্পকর্মে রূপান্তর করা। এরপর টিএসসিতে শিশুদের অংশগ্রহণে যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং দুপুর ১২ টায় সকল প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়। বাদ জোহর হাবিপ্রবি’র কেন্দ্রীয় মসজিদে শহিদগণের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। এছাড়াও দিনটি উপলক্ষ্যে প্রশাসনিক ভবন, প্রধানগেট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্থর চত্বর, মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের বাসভবনে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়।



News and Events

winwin winwin winwin winwin winwin bongda tv winvn SEN88 D9BET