Posted: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০১৯ পালিত হয়েছে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা অর্ধ-নমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম-এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মচারীরা কালো ব্যাচ ধারণ করে প্রভাত ফেরীতে অংশ নেয়। প্রভাত ফেরী শেষে উপাচার্য শহীদদের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ক্রমান্বয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (হাবিপ্রবি শাখা)-এর নেতৃবৃন্দ ও কর্মচারীগণ। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২৫টি সংগঠন পুস্পস্তবক অর্পণ করে মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে উপাচার্য মহোদয়ের বাণী পাঠ ও বিতরণ করা হয়। ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে উপাচার্য তার বাণীতে বলেন, “মাতৃভাষার দাবীতে বাঙালি তরুনদের সেদিনের আত্মবলিদান শুধু ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি; যা পরবর্তীতে একটি গণতান্ত্রিক ও ন্যায় ভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে। ভাষা আন্দোলন আমাদের অন্তরে যে চেতনা ও শক্তি যুগিয়েছিল তা-ই পরবর্তীতে প্রতিটি আন্দোলন ও সংগ্রামকে বেগবান করে তোলে। এ আন্দোলনের পথ বেয়েই এগিয়ে গেছে আমাদের স্বাধিকার আদায়ের সকল সংগ্রাম। এর চূড়ান্ত ফসল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ”।
এরপর শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আয়োজনে এক আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম। এছাড়া, বাদ জোহর ভাষা শহীদদের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।