বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে দিয়ে হাবিপ্রবিতে মহান বিজয় দিবস ২০২৫ উদযাপিত
Posted: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, হাবিপ্রবি, দিনাজপুর



যথাযোগ্য মর্যাদা, উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ হতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকাল ৬.৪৫ টায় প্রশাসনিক ভবনের সন্মুখে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। অতঃপর সকাল ৯.০৫ টায় হাবিপ্রবির মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা এর নেতৃত্বে এবং প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির-এর উপস্থিতিতে বিজয় দিবসের বর্ণাঢ্য র‌্যালি টিএসসির সম্মুখ হতে শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস ও এর সামনের মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে।





র‌্যালিতে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন। এরপর সকাল ৯.৩০ টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা, প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার, ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. আবু হাসান, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. শামসুজ্জোহা, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. এস. এম. এমদাদুল হাসান সকল শহিদগণের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের লক্ষ্যে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন অনুষদের ডীন, হল সুপার, পরিচালকবৃন্দ এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শহিদগণের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।





পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে উপস্থিত সকলের মাঝে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ ও বিতরণ করা হয়। বাণীতে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা বলেন,আজ মহান “বিজয় দিবস”। আমাদের মাতৃভূমির স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ের ৫৪তম বার্ষিকী। বিজয়ের এ আনন্দঘন উৎসবমুখর দিনে আমি হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে আপনাদের সবাইকে জানাই রক্তিম শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন। ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর বাংলার দামাল ছেলেরা পশ্চিম পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীকে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পরাজিত ও আত্মসর্মপণে বাধ্য করে ছিনিয়ে আনেন চুড়ান্ত বিজয়, আমরা অর্জনকরি “মহান স্বাধীনতা”। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় হয় একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ”।





আজকের এ মহান দিবসে আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাকে- যাঁরা ’৭১ এ দেশের স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে আনতে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং যাঁদের জীবণ-মরণ সংগ্রাম ও সীমাহীন আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে “বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা”। আমি মহান শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আমি গভীর শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি জানাচ্ছি মহান মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন ও আহত হয়েছেন এবং প্রিয় স্বজনদের হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি। বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি মহান মুক্তিযুদ্ধে নরপশু হায়নাদের দ্বারা শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতিত এবং সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের প্রতি- যাঁদের আর্তনাদ-এ প্রকম্পিত হয়ে উঠেছিল আমাদের মাতৃভূমি। একই সাথে ’২৪ এর গণঅভ্যূত্থানে শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনসহ তাঁদের আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের আশু আরোগ্য কামনা করছি। বিজয় দিবসের এই মূহুর্ত্বে আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম)-কে যাঁর দৃঢ় ও দৃপ্ত কন্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিশেহারা জাতিকে যুগিয়েছিল অদম্য সাহস এবং দেশ প্রেমের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগের নতুন প্রেরণা। একাত্তর পরবর্তী সময়ে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা বহুবার বহি:শত্রুর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। তবে, স্বাধীনতা ও সার্বোভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে এদেশের জনগণ প্রতিবারেই গর্জে উঠেছে। পরবর্তীতে, ৭১ এর চেতনা ধারণ করে ’২৪ এর জুলাই-আগষ্ট এ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতা গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বৈরাচারী-ফ্যাসিষ্ট সরকারকে হটিয়ে ছিনিয়ে আনে আমাদের “দ্বিতীয় বিজয়”। পরিশেষে, আমাদের প্রিয় প্রাঙ্গণ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা ও সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সকলে মিলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখি এবং সকল ভেদাভেদ-বৈষম্য ভুলে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠারসাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি। মহান বিজয় দিবসের ঊষা লগ্নে সকলের প্রতি এটাই আমার একান্ত প্রত্যাশা। বাণী পাঠ শেষে বিজয় দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ১০ টায় টিএসসি প্রাঙ্গণে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে কেন্দ্রীয় মাঠ-০১ (শহিদ আবরার ফাহাদ হল) এ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে প্রীতি ভলিবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় এবং বাদ যোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে সকল শহিদগণের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর বিকাল ৪ টা হতে রাত পর্যন্ত অনুষদভিত্তিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ৪র্থ বিজয় দিবস কাপ আন্তঃঅনুষদীয় ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস ও দাবা প্রতিযোগিতা- ২০২৫ এবং ৩য় আন্তঃঅনুষদীয় ক্যারাম প্রতিযোগিতা এর শুভ উদ্বোধন করা হয়। প্রতিটি ইভেন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির। সভাপতিত্ব করবেন শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগের পরিচালক মো. মাহবুব উল হাসান। এদিকে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে প্রশাসনিক ভবন, শহীদ মিনার, টিএসসি, গেটসহ বিভিন্ন স্থাপনাতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।



News and Events

winwin winwin winwin winwin winwin bongda tv winvn SEN88 D9BET
slot pulsa . https://bakeryrahmat.com/ slot demo https://nvmslot898chat.com rajatoto