কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে হাবিপ্রবি ভিসি প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা “বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হবে”
Posted: ১৯ নভেম্বর ২০২৪



হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাগণের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা এবং প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার। আজ দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২ এ উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির, সঞ্চালনা করেন অডিট সেলের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম সরকার। মতবিনিময় সভার শুরুতেই পবিত্র কুরআন ও গীতা থেকে পাঠ করা হয়। এ সময় কর্মকর্তাগণের পক্ষ থেকে বক্তব্য প্রদান করেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সোহেল জামান, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. সাখাওয়াতুল কবীর চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. তরিকুল ইসলাম, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. নূর- এ আলম সরকার ও শরীরচর্চা শিক্ষা শাখার পরিচালক মো. মাহবুব উল হাসান। উক্ত সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন পাশাপাশি তিনি গতকাল সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সিনিয়র ল্যাব টেকনিশিয়ান মো. আব্দুল মান্নান এর রূহের মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবকে আমাদের ধারণ করতে হবে এবং এ জন্য আমাদের সকলকে যার যার নিজ নিজ অবস্থান থেকে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাহলেই আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় উপহার দিতে পারবো। আশা করি আপনারা নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন এবং প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন।



প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা উপস্থিত কর্মকর্তাদের প্রশাসনের প্রাণ সঞ্চারক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আপনারা শিক্ষার্থীদের পরেই মূল প্রাণকেন্দ্র, আপনাদের হাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো মন্দ নির্ভর করে। আমরা শিক্ষকরা হয়ত দুই এক বছরের জন্য দায়িত্বে আসি। আপনারাই কিন্তু আমাদেরকে কাজের ধরণটা বুঝিয়ে দেন, সেক্ষেত্রে আপনাদের উপরই আমরা ডিপেন্ড করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নসহ অন্যান্য কার্যক্রম নির্ভর করে আপনাদের কর্মতৎপরতা ও দায়িত্বশীলতার উপর। এ সময় তিনি জুলাই-আগস্টে আত্মদানকারী রংপুরের বীর সন্তান শহীদ আবু সাইদ, ঢাকার মুগ্ধ, দিনাজপুরের রাহুলসহ নাম জানা না জানা দেড় থেকে দুই হাজার শহীদদের স্মরণ করেন। তিনি বলেন, তাঁদের রক্তের বিনিময়েই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি। একবার ভেবে দেখুন যে পরিবারের সন্তান মারা গেছে, তাদের কি অবস্থা। সমাজ তাদের কি দিয়েছে? তাঁরা তাদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন শুধুমাত্র বাংলাদেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে নিরাপদ করার জন্য। তাঁদের কথা চিন্তা করলে আমরা অনেক ভাগ্যবান, চাকুরী করতেছি এবং মাস শেষে টাকা পাচ্ছি। তাঁরা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করে আমাদের উপর কিছু দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। সেগুলো হলো আমাদের দ্বারা কেউ যেন বৈষম্যের স্বীকার না হয়, নির্যাতিত নিপীড়িত না হয়। আমরা কারো উপকার করতে পারি না পারি, কারো ক্ষতি করবো না। এটুকু তাঁরা আমাদের শিখিয়ে দিয়ে গেছেন। তাঁদের এই সেন্টিমেন্টটাকে আমাদের ধারণ করতে হবে এবং তাঁদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশে কোন সমস্যা থাকবে না। শহীদরা যে স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন তা রক্ষা করার দায়িত্ব আপনার আমার সকলের, আমরা সেটা করবো। বিগত সময়ে হাবিপ্রবিতে যদি কোন বৈষম্য হয়ে থাকে, তাহলে আইন অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে সেটি আমরা অবশ্যই পূরণ করবো এবং আগামী দিনে কোন ভাবেই কোন বৈষম্য করা হবে না। ন্যায্যতার ভিত্তিতে বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের মাধ্যমে আবু সাইদ-মুগ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হবে।



মতবিনিময় সভা শেষে শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

News and Events

winwin winwin winwin winwin winwin bongda tv winvn SEN88 D9BET
slot pulsa . https://bakeryrahmat.com/ slot demo https://nvmslot898chat.com rajatoto