হাবিপ্রবিতে অফিসারগণের জন্য অফিস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
Posted: ২৬ এপ্রিল ২০২৫



হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং (আইআরটি)-এর আয়োজনে "অফিস ম্যানেজমেন্ট (প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট)" শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসারদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও উন্নয়নের উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণ কর্মশালাটির আয়োজন করা হয়। আজ সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২ এ উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আইআরটি'র সহযোগী পরিচালক প্রফেসর ড. মারুফ আহমেদ ও প্রফেসর ড. শরীফ মাহমুদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইআরটি'র পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আলমগীর হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন আইআরটি'র সহকারী পরিচালক মো. শাহজাহান মন্ডল।





কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মামুনুল আলম। তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, অনুমোদন, বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জ: প্রেক্ষিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গতিধারা: সরকারের আয় / ব্যয়: প্রেক্ষিত উন্নয়ন প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি অফিস ব্যবস্থাপনার বিষয়েও তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেন। এ সময় তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন চাইলে নিজ নিজ দায়িত্ব ভাগ করে নিয়ে কাজ করতে হবে। দেশে আর আগের পরিবেশ নেই, বর্তমানে কেউ জবাবদীহীতার উর্ধে নয়। তিনি বলেন, আপনাদের ভিসি মহোদয়ের সাথে এখন পর্যন্ত যতবার কথা হয়েছে, তিনি সব সময় হাবিপ্রবির পরিবর্তন নিয়ে কথা বলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ও এই এলাকার মানুষের জন্য তিনি কিছু করতে চান, এই জিনিসটাই হয়তো তাকে এক সময় সফলতার দিকে নিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে আপনাদের সকলকে তার পাশে দাঁড়াতে হবে।





অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা বলেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তুলনা করতে গেলে আমরা বৈষম্যের স্বীকার হয়েছি, এই কয়েকমাস ভাইস-চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করে আমি সেটা ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছি। তিনি বলেন, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে শত শত একর জায়গা দেয়া হচ্ছে অথচ দুই যুগ পুরনো হাবিপ্রবির আয়তন মাত্র ৮৫ একর, বৈষম্যের বিষয়ে এটি ছোট্ট একটি উদাহরণ মাত্র। উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে হাবিপ্রবি বঞ্চিত হয়েছে এতোদিন। এখানে ৯ টি ফ্যাকাল্টির অধীনে ৪৫ টি ডিপার্টমেন্ট, কিছু কিছু ডিপার্টমেন্টে প্রচণ্ড শিক্ষক সংকট রয়েছে। তিনি বলেন, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর ৬০ ভাগই ক্যাম্পাসের বাহিরে গ্রামে থাকে, এভাবে তাদের শিক্ষার পরিবেশ ও মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীরা আপনার, আমার, আমাদেরই ভাই-বোন, সন্তানের মতো। তাই তাদের শিক্ষার ও বাসস্থানের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। তিনি উপস্থিত অফিসারগণের উদ্দেশ্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে তথা দেশের স্বার্থে সকল ভেদাভেদ ভুলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আপনাদেরকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যেতে হবে। পরিশেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মহোদয়সহ আইআরটি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।





উল্লেখ্য, উক্ত কর্মশালায় প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার হাবিপ্রবি’র এ্যাক্ট ও অর্ডিন্যান্স সম্পর্কিত ধারণা ও প্রশাসনিক অবকাঠামোর উপর এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০৮ জন অফিসার অংশগ্রহণ করেন।


News and Events

winwin winwin winwin winwin winwin bongda tv winvn SEN88 D9BET
slot pulsa . https://bakeryrahmat.com/ slot demo https://nvmslot898chat.com rajatoto