Posted: ৩০ আগস্ট ২০২১।
৩০ আগস্ট ২০২১, হাবিপ্রবি, দিনাজপুর: ঐতিহাসিক মুজিব বর্ষে, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস ২০২১ উপলক্ষে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর গৌরবময় রাজনৈতিক জীবনের উপর শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনলাইনে আয়োজিত ৩টি রচনা ও ২টি কুইজ এবং শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী এবং সমাপনী অনুষ্ঠান "অবিনশ্বর বঙ্গবন্ধু" রবিবার সন্ধ্যা ৭.০০ টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন । বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সিনিয়র সচিব জনাব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম এবং হাবিপ্রবির সম্মানিত ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য এবং মাসব্যাপী কর্মস‚চীর সংক্ষিপ্ত বিবরণী উপস্থাপন করেন জাতীয় দিবস পালন কমিটির সদস্য সচিব এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত সকল শিক্ষক, কর্মকর্তাগণ, আমন্ত্রিত সাংবাদিকবৃন্দ ও প্রতিযোগীরা এর মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন এবং শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে লাইভে সংযুক্ত ছিলেন ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি সম্মানিত সিনিয়র সচিব জনাব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম বলেন বাঙালির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মৃত্যুর সামনে দাড়িয়ে বাংলা ও বাঙালির অধিকারের জন্য কাজ করে গেছেন সারাজীবন, এ জন্য তাকে রাজনীতির কবি বলা হয়। তিনি শুধু স্বপ্ন দ্রষ্টাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন ভবিষ্যৎ দ্রষ্টাও। ঘাতক চক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তার নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি, ভবিষ্যতেও কেউ পারবেনা। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতার নাম এদেশের লাখো কোটি বাঙালির অন্তরে অক্ষয় হয়ে থাকবে।
আলোচনা সভার প্রধান অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পরে বাংলাদেশ ছিল একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দরিদ্র দেশ। এতো বিপর্যয় ও দুরবস্থার মধ্যেও বঙ্গবন্ধু কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের মাধ্যমে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় কাজ শুরু করেছিলেন।যুদ্ধের বছর দেশে কোন ফসল হয়নি। ফলে একদিকে যেমন খাদ্য সংকট, অন্যদিকে ভংগুর যোগাযোগ অবকাঠামো। রাস্তাঘাট, পুল, কালভার্ট, ব্রিজ, রেল, সবই ভাঙা। কোন কারেন্সি নোট নেই, পোর্ট বন্ধ। জাসদ সৃষ্টি হলো। সিরাজ শিকদারের সর্বহারা পাটির দৌরাত্ম্য। তার উপর '৭৪ এর দুর্ভিক্ষ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জনগণের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা প্রভৃতি মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ অর্থনৈতিকভাবে দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সহযোগিতায় ও জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ পরিকল্পনায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।
আলোচনা সভার সভাপতি মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান তার সমাপনি বক্তব্যের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে নিহত জাতির পিতাসহ তার পরিবারের সদস্যদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন বাঙালির মহান নেতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিরঞ্জীব, তিনি অবিনশ্বর। বাঙালির অস্থিমজ্জায় মিশে আছেন তিনি। জাতির পিতার রক্ত ও আদর্শের উত্তরস‚রি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার সোনার বাংলার বিনির্মাণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের সকলের উচিত তাকে সহযোগিতা করা। পরিশেষে তিনি আলোচনা সভায় সংযুক্ত মাননীয় প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী , কর্মচারীবৃন্দসহ সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।